কৃষক বন্ধু প্রকল্প
কন্যাশ্রী,রূপশ্রী,লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মতোই কৃষক বন্ধু প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা ওয়েস্ট বেঙ্গল সরকারের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। এই প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2019 সালের 1st জানুয়ারি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের গরিব কৃষক দের বিশেষভাবে আর্থিক সাহায্য করা হয়। কৃষক বন্ধু প্রকল্প খরিফ ও রবি চাষ করার সময় কৃষকদের বীজ,সার, ও অন্যান্য কিছু সরঞ্জাম কেনার সুবিধার্থে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
কৃষক বন্ধু উদ্দেশ্য
কৃষক বন্ধুর উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত কৃষক টাকার অভাবে কৃষি কাজের সমস্ত রকম উপকরণ এবং কৃষিকাজের যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না ,সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারি কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করে ।
কৃষকদের কৃষি কাজ করার যেন অসুবিধা না হয় তার জন্য যাদের এক একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমি আছে তাদের সর্বাধিক ১০,০০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করেন।যদি এক একরের কম হয় তাহলে আনুপাতিক হারে দুই কিস্তিতে ন্যূনতম ৪০০০ টাকা পাবেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আরেকটি বড় সুবিধা হল, কোন কৃষক যদি ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মারা যান, তাহলে তার যে আইনসম্মত উত্তরাধিকারী আছে তারা ২ লাখ টাকা অনুদান পাবেন ।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কারা কারা এই সুবিধা পাবেন
রাজ্যের প্রতিটি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা এই প্রকল্প সুবিধা পান।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প সুবিধা নিতে হলে কৃষকের নিজ নামে জমির পর্চা/পাট্টা/খতিয়ান/দলিল থাকলে কৃষক বন্ধুর জন্য আবেদন করতে পারে।।
নিজের নামে জমি না থাকলেও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া যায়। এর জন্য লাগবে জমির দলি/দানপত্র/অন্যান্য কাগজপত্র , ও স্বঘোষণা পত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, যা দিয়ে কৃষক বন্ধু প্রকল্প আবেদন করতে পারেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে
- তার যোগ্য জমির পর্চা/দলিল/খতিয়ান,
- ভোটার কার্ড,
- আধার কার্ড,
- ব্যাংকের পাস বই অথবা বাতিল চেক,
- দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,
- মোবাইল নাম্বার,
- যদি নিজস্ব জমি না থাকে তাহলে জমির দলিল দানপত্র ও ঘোষণা পত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট,
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কোথায় আবেদন করবেন ও কিভাবে আবেদন করবেন
কৃষক বন্ধু প্রকল্প আবেদন করতে হলে অফলাইন আপনার নিকটস্থ ভিডিও অফিস অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রথমে কৃষি দপ্তর অফিস থেকে অথবা দুয়ারের সরকার ক্যাম্প থেকে বা অনলাইন থেকে কৃষক বন্ধু ফরম সংগ্রহ করতে হবে।এই প্রকল্পর ফর্ম আপনি অফিসার ওয়েবসাইট https://krishakbandhu.net থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
কৃষক বন্ধু ফর্ম ডাউনলোড করার ডাউনলোড লিংক –
আবেদন পত্রটি সুন্দরভাবে ও সঠিকভাবে ফিলাপ করে আপনি আপনার নিকটস্থ ভিডিও অফিস অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে প্রয়োজনী নতি সঙ্গে জমা করবেন।
বিঃদ্রঃ-মনে রাখবেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন পত্রটি জমা করার পর প্রাপ্তি স্বীকার অবশ্যই সংগ্রহ করবেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প apply online
এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পে অনলাইন এপ্লাই এর কোন ব্যবস্থা নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে অফলাইন এর মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
তবে অফিসের ওয়েবসাইট থেকে আপনি আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে পারেন।
অফিসের ওয়েবসাইট লিংক – https://krishakbandhu.net
কৃষক বন্ধু প্রকল্প চেক করার নিয়ম | Krishak Bandhu scheme status check
আপনার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা আপনি পাচ্ছেন কিনা তা যাচাই করার জন্য আপনি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন।
প্রথমত, সরকারি ওয়েবসাইট “https://krishakbandhu.net” ভিজিট করুন।
দ্বিতীয়তঃ হোমপেজে “নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য” অপশনটি ক্লিক করতে করুন।
এখানে সিলেক্ট অপশন বক্সে ক্লিক করে Voter Card, AADHAAR Card, Bank A/C NO., KBID, MOBILE NO, Acknowledgement No যেকোনো একটি সিলেক্ট করুন তারপর সিলেটকৃত নতির আইডি নাম্বারটি বক্সে ফিলাপ করুন এবং সর্বশেষে ক্যাপসা সম্পূর্ণ করে সার্চ ক্লিক করুন।
এখন আপনি আপনার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস এবং আপনার টাকা ঢুকেছে কিনা তা দেখতে পাবেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে পাওয়া যাবে
এই স্কিমে বছরে দুবার টাকা আপনার ব্যাঙ্কে প্রবেশ করে। সাধারণত খরিফ সিজন ও রবি সিজনে এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রবি শস্যের টাকা প্রদান করা হয় এবং এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খারিফ শস্যের টাকা দেওয়া হয়।
Dada kabe taka pabo ei bachor
Dada Taka deoya ki suru haiche